Headlines

চিনাবাদাম কাঁচা না কি ভাজা, কোনটাতে বেশী উপকার পাওয়া যায়….

Published by: Soumya Mukherjee

Updated: 10 June, 2024, 8:30 am (IST)

কোলকাতাঃ- দুপুরে অফিসের কাজের বিরতি হোক কিংবা বিকেলের চায়ের আড্ডা সব জায়গাতেই চিনাবাদাম(Peanut) এর উপস্থিতি লক্ষ্য করা যায়। চিনাবাদাম যে অতন্ত্য স্বাস্থকর তা বলার অপেক্ষা রাখে না। চিনাবাদামে রয়েছে প্রোটিন,ফ্যাট,ভিটামিন এর মতো নানা উপকারী উপাদান যেগুলি আমাদের শরীরে পুষ্টি জোগায় এবং শাক্তি প্রদান করে।

চিনাবাদাম(Peanut) সুগার, ডিমেনশিয়া,অ্যালঝাইমার্স,কোলেস্টেরল এবং আরও অনান্য রোগের যম।

চিনাবাদাম খাওয়ার বিভিন্ন ধরন আছে, যেমন কাঁচা, ভাজা, এবং লবণাক্ত। কাঁচা এবং ভাজা চিনাবাদামের পুষ্টিগুণের মধ্যে কিছু পার্থক্য আছে, এবং এই দুই ধরণের চিনাবাদামের উপকারিতা সম্পর্কে বিস্তৃত আলোচনা এখানে দেওয়া হলো।

Table of Contents

কাঁচা চিনাবাদামের(Peanut) উপকারিতা

১. পুষ্টির সমৃদ্ধ উৎস:

কাঁচা চিনাবাদাম পুষ্টির চমৎকার উৎস। এতে প্রোটিন, ফাইবার, স্বাস্থ্যকর চর্বি, ভিটামিন এবং খনিজ পদার্থ রয়েছে। কাঁচা চিনাবাদামে ভিটামিন বি, ভিটামিন ই, ম্যাগনেসিয়াম, পটাসিয়াম এবং আয়রন পাওয়া যায়।

২. হৃদযন্ত্রের স্বাস্থ্য:

কাঁচা চিনাবাদামে মোনোআনস্যাচুরেটেড এবং পলি-আনস্যাচুরেটেড ফ্যাট থাকে, যা খারাপ কোলেস্টেরল (এলডিএল) কমাতে সাহায্য করে এবং ভালো কোলেস্টেরল (এইচডিএল) বাড়ায়। এটি হৃদযন্ত্রের জন্য উপকারী এবং হৃদরোগের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে।

৩. অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ:

কাঁচা চিনাবাদামে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকে, যেমন রেসভেরাট্রল। এটি শরীরের কোষগুলিকে ফ্রি র‍্যাডিক্যাল থেকে রক্ষা করে এবং বিভিন্ন রোগ প্রতিরোধে সহায়ক।

৪. ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে সহায়ক:

কাঁচা চিনাবাদামে গ্লাইসেমিক ইনডেক্স কম, যা রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। এটি টাইপ ২ ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য উপকারী।

৫. ওজন নিয়ন্ত্রণ:

কাঁচা চিনাবাদামে ফাইবার এবং প্রোটিন উচ্চ পরিমাণে থাকে, যা ক্ষুধা কমাতে সাহায্য করে এবং দীর্ঘ সময় ধরে পেট ভরা রাখে। এটি অতিরিক্ত খাদ্যগ্রহণ প্রতিরোধে সাহায্য করে এবং ওজন নিয়ন্ত্রণে সহায়ক।

৬. হাড়ের স্বাস্থ্য:

কাঁচা চিনাবাদামে ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, এবং ফসফরাস রয়েছে, যা হাড়ের ঘনত্ব বাড়ায় এবং অস্টিওপরোসিস প্রতিরোধে সাহায্য করে।

Peanut

ভাজা চিনাবাদামের(Peanut) উপকারিতা

১. স্বাদ এবং সহজপাচ্য:

ভাজা চিনাবাদাম সাধারণত স্বাদে বেশি মজাদার হয় এবং অনেকের কাছে বেশি পছন্দসই। এটি সহজে খাওয়া যায় এবং সহজপাচ্য।

২. অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ:

ভাজা চিনাবাদামেও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকে, যা কোষগুলিকে ফ্রি র‍্যাডিক্যাল থেকে রক্ষা করে এবং বিভিন্ন রোগ প্রতিরোধে সহায়ক।

৩. প্রোটিন এবং ফাইবার:

ভাজা চিনাবাদামে উচ্চ পরিমাণে প্রোটিন এবং ফাইবার থাকে, যা পেশী গঠনে এবং হজমে সহায়ক।

৪. হৃদযন্ত্রের স্বাস্থ্য:

ভাজা চিনাবাদামেও মোনোআনস্যাচুরেটেড এবং পলি-আনস্যাচুরেটেড ফ্যাট থাকে, যা হৃদযন্ত্রের জন্য উপকারী এবং হৃদরোগের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে।

৫. শেলফ লাইফ:

ভাজা চিনাবাদাম সাধারণত কাঁচা চিনাবাদামের চেয়ে বেশি সময় ধরে সংরক্ষণ করা যায়। এটি বহন এবং সংরক্ষণে সহজ।

কাঁচা বনাম ভাজা চিনাবাদাম(Peanut): কোনটি বেশি উপকারী?

উভয় কাঁচা এবং ভাজা চিনাবাদামেরই নিজস্ব উপকারিতা রয়েছে, তবে কিছু পার্থক্যও আছে। সাধারণভাবে, কাঁচা চিনাবাদাম পুষ্টির দিক থেকে বেশি সম্পূর্ণ থাকে কারণ ভাজার সময় কিছু পুষ্টি উপাদান হ্রাস পায়। অন্যদিকে, ভাজা চিনাবাদাম স্বাদে বেশি মজাদার হয় এবং সহজে হজম হয়।

পুষ্টি উপাদান:

কাঁচা চিনাবাদামে কিছু পুষ্টি উপাদান থাকে যা ভাজার সময় কিছুটা নষ্ট হতে পারে, যেমন ভিটামিন বি এবং ভিটামিন সি। তবে ভাজা চিনাবাদামে অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের মাত্রা কিছুটা বেড়ে যেতে পারে।

হজম:

ভাজা চিনাবাদাম হজমে কিছুটা সহজ হতে পারে কারণ ভাজার সময় কিছু অ্যান্টিনিউট্রিয়েন্টস নষ্ট হয়, যা পুষ্টির শোষণে বাধা দেয়।

সংরক্ষণ:

ভাজা চিনাবাদাম সাধারণত বেশি সময় ধরে সংরক্ষণ করা যায়, কারণ ভাজার সময় আর্দ্রতা কমে যায় এবং এটি সহজে পঁচে যায় না।

চিনাবাদামের(Peanut) অন্যান্য উপকারিতা

১. মস্তিষ্কের কার্যকারিতা উন্নত করা:

চিনাবাদামে থাকা ভিটামিন বি৩ এবং নাইয়াসিন মস্তিষ্কের কার্যকারিতা উন্নত করতে সহায়ক। এটি স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধি করতে এবং মানসিক স্বাস্থ্যের উন্নতিতে সাহায্য করে।

২. গর্ভাবস্থায় উপকারী:

চিনাবাদামে ফোলেট থাকে, যা গর্ভবতী নারীদের জন্য বিশেষভাবে উপকারী। এটি ভ্রূণের সঠিক বৃদ্ধি এবং বিকাশে সহায়ক।

৩. ত্বকের যত্ন:

চিনাবাদামে থাকা ভিটামিন ই ত্বকের জন্য উপকারী। এটি ত্বকের আর্দ্রতা বজায় রাখতে সাহায্য করে এবং ত্বককে স্বাস্থ্যকর রাখে।

৪. চুলের যত্ন:

চিনাবাদামে বায়োটিন থাকে, যা চুলের বৃদ্ধিতে সাহায্য করে এবং চুলকে মজবুত ও স্বাস্থ্যকর রাখে।

পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া এবং সতর্কতা

চিনাবাদাম(Peanut) খাওয়ার কিছু পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া থাকতে পারে, বিশেষত যদি অতিরিক্ত পরিমাণে খাওয়া হয়। কিছু লোকের চিনাবাদামের প্রতি অ্যালার্জি থাকতে পারে, যা গুরুতর স্বাস্থ্য সমস্যার কারণ হতে পারে। তাই চিনাবাদাম খাওয়ার সময় সতর্ক থাকা উচিত।

উপসংহার

চিনাবাদাম(Peanut), কাঁচা হোক বা ভাজা, উভয়ই অত্যন্ত পুষ্টিকর এবং স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী। পুষ্টি উপাদান, স্বাদ, এবং ব্যক্তিগত পছন্দের উপর নির্ভর করে আপনি কোন ধরণের চিনাবাদাম খেতে চান তা নির্ধারণ করতে পারেন। তবে, চিনাবাদাম খাওয়ার সময় পরিমিতি বজায় রাখা গুরুত্বপূর্ণ।

ডিসক্লেইমার

লেখায় উল্লেখিত দাবি বা পদ্ধতি পরামর্শস্বরূপ। এটি মেনে চলার আগে অবশ্যই সরাসরি বিশেষজ্ঞ/চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।

ভারতের সবচেয়ে সুন্দর রেল স্টেশনগুলি… ভারতের কম পরিচিত উল্লেখযোগ্য পর্যটন স্থলগুলি… ভারতের ব্যস্ত রেল স্টেশনগুলি… দক্ষিণ ভারতীয় প্রাতঃরাশের সেরা খাবারগুলি… ১৫ই আগস্ট স্বাধীনতা দিবস উদযাপনকারী দেশগুলি…