Headlines

ভুয়ো অ্যাপ বানিয়ে অনলাইন ট্রেডিং ! জনসাধারণকে এই বিষয়ে সতর্ক করল লাল বাজার (Kolkata Police)…..

Published By: Subhra Chatterjee

Last Updated: 12 June, 2024, 2:30 pm (IST)

কোলকাতাঃ-লালবাজারের(Kolkata Police) শেয়ার করা অনলাইন ট্রেডিং সম্পর্কে সতর্কমূলক একটি পোস্ট সমাজ মাধ্যমে খুবই ভাইরাল হয়েছে।

আজ থেকে ঠিক ১৭৪ বছর আগে শুরু হওয়া স্টক এক্সচেঞ্জের ব্রোকাররা হয়তো তখন কল্পনাও করতে পারেননি যে, এই ২০২৪ সালে এসে ভারতীয় জনমানসে শেয়ার বাজার এতোটাই জনপ্রিয় হয়ে উঠবে। সৌজন্যে অবশ্যই অনলাইন ট্রেডিং। আজকের এই ডিজিটাল বিপ্লবের যুগে বিনিয়োগ, লেনদেন এবং বাঙ্কিং আগের থেকে অনেক অনেক সহজতর হয়েছে। এখন মানুষ ঘরে বসেই মোবাইলে বিভিন্ন অ্যাপের মাধ্যমে এইসব কাজ খুব সহজেই করতে পারেন। তবে ইদানিং এই অতি সহজ কাজকর্ম কিছুটা ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠেছে। প্রতারকরা বিভিন্নভাবে সাধারন নিরীহ মানুষদের ঠকিয়ে চলেছে। এই প্রসঙ্গে জনসাধারণকে সতর্ক করল লালবাজার(Kolkata Police)।

স্টক এক্সচেঞ্জ এর পত্তন এবং বর্তমান প্রেক্ষাপট

১৮৫০ সালে বম্বে টাউন হলের উল্টো দিকে একটি বটগাছের তলায় স্টক এক্সচেঞ্জের পত্তন হয়েছিল, যা ভারতীয় শেয়ার বাজারের ইতিহাসে এক গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা। এটির সূচনা একটি ছোট ব্যবসায়ী গোষ্ঠীর মাধ্যমে হলেও, সময়ের সাথে সাথে এটি দেশের বৃহত্তম স্টক এক্সচেঞ্জ হিসেবে পরিগণিত হয়েছে। বম্বে স্টক এক্সচেঞ্জ (BSE) এবং পরবর্তীতে ন্যাশনাল স্টক এক্সচেঞ্জ (NSE) ভারতীয় অর্থনীতির মেরুদণ্ড হয়ে উঠেছে।

ডিজিটাল বিপ্লব এবং শেয়ার বাজার

বর্তমানে, ডিজিটাল বিপ্লবের যুগে শেয়ার বাজারে বিনিয়োগ অনেক সহজ হয়েছে। উন্নত প্রযুক্তির ব্যবহারে এখন মোবাইল অ্যাপের মাধ্যমে ট্রেডিং করা যায়। এই অ্যাপগুলি ব্যবহার করে বিনিয়োগকারীরা তাদের ট্রেডিং অ্যাকাউন্ট এবং ডি-ম্যাট অ্যাকাউন্ট পরিচালনা করতে পারেন।

ট্রেডিং অ্যাকাউন্ট

ট্রেডিং অ্যাকাউন্ট হলো একটি বিশেষ ধরনের অ্যাকাউন্ট যা বিনিয়োগকারীকে শেয়ার কেনাবেচার সুবিধা প্রদান করে। এই অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে আপনি শেয়ার বাজারে বিভিন্ন ধরনের লেনদেন করতে পারেন।

ডি-ম্যাট অ্যাকাউন্ট

ডি-ম্যাট অ্যাকাউন্ট হলো এক ধরনের ইলেকট্রনিক অ্যাকাউন্ট যেখানে আপনার শেয়ারগুলি ইলেকট্রনিক ফরম্যাটে সংরক্ষিত থাকে। এর মাধ্যমে শেয়ারের সনদপত্রের ঝামেলা থেকে মুক্তি পাওয়া যায় এবং সহজেই শেয়ারের লেনদেন করা যায়।

মোবাইল অ্যাপের মাধ্যমে ট্রেডিং

বর্তমানে বিভিন্ন মোবাইল অ্যাপের মাধ্যমে ট্রেডিং করা যায়। এই অ্যাপগুলি ব্যবহার করে আপনি খুব সহজেই শেয়ার কেনাবেচা করতে পারেন, শেয়ারের বর্তমান মূল্য জানতে পারেন, বাজারের বিশ্লেষণ করতে পারেন এবং বিনিয়োগের বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা সম্পর্কে জানতে পারেন।

এই অ্যাপগুলি ব্যবহার করে আপনি খুব সহজেই ট্রেডিং অ্যাকাউন্ট খুলতে পারেন এবং ডি-ম্যাট অ্যাকাউন্টের সাথে সংযুক্ত করতে পারেন।

শেয়ার বাজারে বিনিয়োগের বিভিন্ন স্কিম

শেয়ার বাজারে বিনিয়োগের জন্য বিভিন্ন ধরনের স্কিম রয়েছে। এর মধ্যে কয়েকটি হল:

  • ইনিশিয়াল পাবলিক অফারিং (IPO): নতুন কোম্পানির শেয়ার প্রথমবারের মতো বাজারে ছাড়ার প্রক্রিয়া।
  • মিউচুয়াল ফান্ড: পেশাদার ফান্ড ম্যানেজারদের মাধ্যমে বিনিয়োগকারীদের অর্থ বিভিন্ন শেয়ারে বিনিয়োগ করা হয়।
  • সিস্টেমেটিক ইনভেস্টমেন্ট প্ল্যান (SIP): নিয়মিত সময় অন্তর নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থ বিনিয়োগ করা হয়।
  • ব্লু-চিপ স্টক: স্থিতিশীল এবং উচ্চ বাজার মূল্যের কোম্পানির শেয়ার।
  • পেনি স্টক: নিম্ন মূল্যের এবং উচ্চ ঝুঁকির শেয়ার।

প্রতারণার ফাঁদ এবং লালবাজার(Kolkata Police) এর সতর্কীকরণ

ডিজিটাল যুগের সুবিধার পাশাপাশি কিছু অসাধু ব্যক্তি মানুষকে প্রতারিত করার জন্য বিভিন্ন ধরনের ফাঁদ তৈরি করেছে। ভুয়ো মোবাইল অ্যাপ বানিয়ে প্রতারক চক্রগুলি মানুষকে সর্বসান্ত করার চেষ্টা করছে। এই অ্যাপগুলি ব্যবহারকারীদের ব্যক্তিগত এবং আর্থিক তথ্য চুরি করে এবং তাদের টাকা হাতিয়ে নেয়।

Kolkata Police

প্রতারণার সাধারণ কৌশল

  • ফিশিং: ভুয়ো ওয়েবসাইট বা অ্যাপ ব্যবহার করে লগইন তথ্য চুরি।
  • ভুয়ো ইনভেস্টমেন্ট স্কিম: উচ্চ লাভের প্রতিশ্রুতি দিয়ে বিনিয়োগকারীদের প্রলুব্ধ করা।
  • ফেক অ্যাপ: আসল অ্যাপের মতো দেখতে ভুয়ো অ্যাপ তৈরি করা।
  • স্ক্যাম কল: বিভিন্ন সংস্থার নাম ব্যবহার করে প্রতারণামূলক ফোন কল।

লালবাজার(Kolkata Police) এর সতর্কীকরণ

লালবাজার(Kolkata Police), সাধারণ মানুষকে এই ধরনের প্রতারণা থেকে সতর্ক থাকার পরামর্শ দিয়েছে। তারা কিছু গুরুত্বপূর্ণ সতর্কতা জারি করেছে:

  1. বিশ্বস্ত সোর্স থেকে অ্যাপ ডাউনলোড করুন: শুধুমাত্র অফিসিয়াল অ্যাপ স্টোর থেকে অ্যাপ ডাউনলোড করুন।
  2. ব্যক্তিগত তথ্য শেয়ার করবেন না: কোনো অজানা সোর্স বা অ্যাপের সাথে ব্যক্তিগত বা আর্থিক তথ্য শেয়ার করবেন না।
  3. বিশ্বস্ত ব্রোকার নির্বাচন করুন: বিশ্বস্ত এবং নিবন্ধিত ব্রোকারের সাথে ট্রেডিং করুন।
  4. নিয়মিত অ্যাকাউন্ট পর্যবেক্ষণ করুন: নিয়মিত আপনার ট্রেডিং এবং ডি-ম্যাট অ্যাকাউন্ট চেক করুন।
  5. সন্দেহজনক কার্যকলাপ রিপোর্ট করুন: যদি কোনো সন্দেহজনক কার্যকলাপ লক্ষ্য করেন, অবিলম্বে পুলিশ বা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করুন।

শেয়ার বাজারে বিনিয়োগের আগে সবসময় সতর্ক থাকুন এবং সঠিক তথ্য যাচাই করে সিদ্ধান্ত নিন। প্রতারণার ফাঁদ থেকে নিজেকে এবং আপনার বিনিয়োগকে সুরক্ষিত রাখুন।

ভারতের সবচেয়ে সুন্দর রেল স্টেশনগুলি… ভারতের কম পরিচিত উল্লেখযোগ্য পর্যটন স্থলগুলি… ভারতের ব্যস্ত রেল স্টেশনগুলি… দক্ষিণ ভারতীয় প্রাতঃরাশের সেরা খাবারগুলি… ১৫ই আগস্ট স্বাধীনতা দিবস উদযাপনকারী দেশগুলি…