Published By: Subhra Chatterjee
Last Updated: July 12, 2024, 9:30 pm (IST)
কোলকাতা: শুক্রবার উত্তর কোলকাতায় সরোজিনী নাইডু কলেজের কাছে যশোর রোডের নাগেরবাজারে রাত্রি প্রায় ২টা নাগাদ একটি আইসক্রিম এবং ভেস্ট কারখানায় আগুন(Fire Incident) লেগে যায় এবং এতে হতাহতের বা আহত হওয়ার কোনো খবর পাওয়া যায়নি। আগুন লাগার কারণও জানা যায়নি।
উত্তর কোলকাতার দমদম নাগের বাজার এলাকায় একটি আইসক্রিম ও ভেস্ট কারখানায় ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। গতকাল রাত প্রায় ২টা নাগাদ এই অগ্নিকাণ্ডের(Fire Incident) সূত্রপাত হয় বলে জানা গেছে। স্থানীয় বাসিন্দারা প্রথমে ধোঁয়া দেখতে পান এবং সাথে সাথে দমকল বাহিনীকে খবর দেন। এই অগ্নিকাণ্ডে(Fire Incident) কারখানার ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে এবং স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে আতঙ্কের সৃষ্টি হয়েছে।
Table of Contents
অগ্নিকাণ্ডের(Fire Incident) সূত্রপাত ও কারণ:
গতকাল রাতে প্রায় ২টা নাগাদ এই অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত হয় বলে জানা গেছে। স্থানীয় বাসিন্দারা প্রথমে ধোঁয়া দেখতে পান এবং সাথে সাথে দমকল বাহিনীকে খবর দেন।
স্থানীয় বাসিন্দাদের মতে, আইসক্রিম কারখানার বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়েছে। কারখানায় প্রচুর দাহ্য পদার্থ যেমন প্লাস্টিক, কাগজ ও অন্যান্য রাসায়নিক পদার্থ মজুত ছিল, যা আগুনকে দ্রুত ছড়িয়ে দিতে সাহায্য করেছে। তবে, অগ্নিকাণ্ডের(Fire Incident) প্রকৃত কারণ নিশ্চিত করতে এখনও আরও তদন্ত প্রয়োজন।
এর আগে ২ জুলাই কলকাতার ধাপার শায়রাবাদে একটি ইঞ্জিন তেলের কারখানায় ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের(Fire Incident) ঘটনা ঘটে যা পরে নিয়ন্ত্রণ করা হয়।
ফায়ার ব্রিগেডের ভূমিকা:
অগ্নিকাণ্ডের(Fire Incident) খবর পেয়ে ফায়ার ব্রিগেডের ১৩টি ইঞ্জিন ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে তাদের প্রায় সাত-আট ঘণ্টা সময় লেগে যায়। দমকল কর্মীরা অক্লান্ত পরিশ্রম করে আগুন নেভাতে সক্ষম হন। তাদের দ্রুত পদক্ষেপের জন্য আশেপাশের অনেক ঘর-বাড়ি রক্ষা পেয়েছে। তাদের তৎপরতায় আশেপাশের এলাকায় আগুন ছড়িয়ে পড়তে পারেনি, যা একটি বড়সড় দুর্ঘটনা এড়ানো সম্ভব হয়েছে।
স্থানীয় বাসিন্দারা অগ্নিনির্বাপক কর্মীদের সহায়তার জন্য এগিয়ে এসেছিলেন, যারা আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সাত ঘন্টারও বেশি সময় ধরে লড়াই করে চলেছেন।
দমকল বিভাগের এক আধিকারিক শুক্রবার বলেছেন যে, ” কলকাতার দমদম নাগের বাজার এলাকায় একটি আইসক্রিম কারখানায় যে আগুন লেগেছিল তা আজ সফলভাবে নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয়েছে “। তিনি বলেছেন, আগুন লাগার কারণ এখনও নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ:
এই অগ্নিকাণ্ডে(Fire Incident) কারখানার দুটি ইউনিট সম্পূর্ণভাবে পুড়ে গেছে। আইসক্রিম এবং ভেস্ট তৈরির মেশিন, কাঁচামাল, এবং তৈরিকৃত পণ্যসহ প্রায় কয়েক কোটি টাকার সম্পত্তি পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। তবে, কোনো প্রাণহানির ঘটনা ঘটেনি।
বাসিন্দাদের প্রতিক্রিয়া:
এই অগ্নিকাণ্ডের(Fire Incident) কারণে স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে আতঙ্ক ও ব্যাপক উত্তেজনা দেখা দিয়েছে। স্থানীয় বাসিন্দাদের অনেকে প্রশাসনের প্রতি ক্ষোভ ব্যক্ত করেছেন, এমন ঘন বসতিপূর্ণ এলাকায় কারখানা স্থাপনের জন্য ছাড়পত্র দেওয়ায়। অনেকের মূল্যবান সম্পত্তি এবং ব্যবসায়িক মালপত্র পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। বাসিন্দারা দমকল কর্মীদের ধন্যবাদ জানিয়েছেন তাদের সাহসী এবং দ্রুত পদক্ষেপের জন্য। তবে, তারা স্থানীয় প্রশাসনের প্রতি ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন কারণ তাদের মতে, আগুন লাগার পর দমকল বাহিনী পৌঁছাতে কিছুটা সময় লেগেছে।
প্রশাসনিক পদক্ষেপ:
রাজ্যের দমকল মন্ত্রী অভিযান তদারকি করতে ঘটনাস্থলে রয়েছেন। সরকার এই অগ্নিকাণ্ডের(Fire Incident) পরবর্তী পরিস্থিতি মোকাবিলায় একটি বিশেষ টাস্ক ফোর্স গঠন করেছে। এছাড়াও, স্থানীয় প্রশাসন একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে, যারা অগ্নিকাণ্ডের প্রকৃত কারণ খুঁজে বের করবে এবং ভবিষ্যতে এই ধরনের ঘটনা প্রতিরোধে ব্যবস্থা নেবে।
সতর্কতা এবং ভবিষ্যৎ প্রতিরোধ:
সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে ওই এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে, পুরো আশেপাশের এলাকা ঘন কালো ধোঁয়ায় ঢেকে গেছে।
এই অগ্নিকাণ্ডের(Fire Incident) পর, আশা করা যায় এলাকাবাসীদের মধ্যে অগ্নি নিরাপত্তা সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধি পাবে। তারা নিজেদের উদ্যোগে বৈদ্যুতিক সার্কিট এবং অন্যান্য অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থার নিয়মিত পরিদর্শন শুরু করবেন। স্থানীয় প্রশাসনও আশ্বাস দিয়েছেন অগ্নি নিরাপত্তা সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য বিভিন্ন কর্মশালার আয়োজন করবেন।
এছাড়াও, দমকল বিভাগের পক্ষ থেকে এলাকার বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে অগ্নি নিরাপত্তা ব্যবস্থা স্থাপন এবং নিয়মিত পরিদর্শন করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
উপসংহার:
দমদমের নাগের বাজার এলাকার আইসক্রিম ও ভেস্ট কারখানায় অগ্নিকাণ্ড(Fire Incident) একটি মর্মান্তিক ঘটনা। তবে, স্থানীয় বাসিন্দা, প্রশাসন, এবং দমকল বাহিনীর সম্মিলিত প্রচেষ্টায় বড় ধরনের প্রাণহানি এড়ানো সম্ভব হয়েছে। এই ঘটনা থেকে শিক্ষা নিয়ে ভবিষ্যতে অগ্নি নিরাপত্তা ব্যবস্থা আরো জোরদার করা প্রয়োজন। প্রশাসন ও বাসিন্দাদের মধ্যে সমন্বয় এবং সচেতনতা বৃদ্ধির মাধ্যমে এমন দুর্ঘটনা প্রতিরোধ করা সম্ভব।