Published By: Subhra Chatterjee
Last Updated: July 11, 2024, 9:30 pm (IST)
কোলকাতা:বুধবার সন্ধ্যায় কলকাতার প্রগতি ময়দান মেট্রো স্টেশনের কাছে একটি জলাধার থেকে দাউদ হোসেন উপল নামে একজন 23 বছর বয়সী বাংলাদেশী(Bangladeshi) নাগরিকের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। বাংলাদেশ থেকে আসার কারণ, মৃত্যুর কারণ, এমন কি ঐ বাংলাদেশী যুবকের গতিবিধি নিয়ে বিভ্রান্তি প্রকাশ করেছেন পুলিশ কর্মকর্তারা।
Table of Contents
স্থানীয় বাসিন্দা ও প্রত্যক্ষদর্শীদের প্রতিক্রিয়া
প্রগতি ময়দান মেট্রো স্টেশনের নিকটবর্তী স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছে যে, সকাল ৯টার দিকে এক যুবককে সেখানের জলাধারের চারিপাশে উদাস মনে ঘুরে বেড়াতে দেখেন। এমনই সময় ওখানের এক বাসিন্দা লক্ষ্য করেন, ঐ যুবক(Bangladeshi) হঠাৎ করে জলাশয়ে ঝাঁপ দিয়েছে। এই দৃশ্য দেখে তিনি চিৎকার করে এলাকার লোকজনদের জড় করেন। তারপর তারা স্থানীয় থানায় গিয়ে ঘটনার বিবরণ জানায়।
খবর পেয়ে পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌছয় এবং স্থানীয়দের সহায়তায়, জল থেকে ঐ যুবকের(Bangladeshi) দেহটি উদ্ধার করে এবং তাকে এনআরএস মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে নিয়ে যায়, সেখানে তাকে মৃত বলে ঘোষণা করে।
পুলিশের বক্তব্য
উপল(Bangladeshi) কয়েকদিন আগে কলকাতায় এসেছিলেন এবং নিউমার্কেট এলাকার একটি হোটেলে অবস্থান করছিলেন।
কেন তিনি সায়েন্স সিটিতে গিয়েছিলেন বা কলকাতায় থাকার কারণ কী তা স্পষ্ট নয়। উপলের কোনও সুইসাইড নোট খুঁজে পায়নি, এবং তার দেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে।
পুলিশ ঘটনাটি জানাতে বাংলাদেশে তার পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করছে।
কলকাতা পুলিশের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেছেন , “আমরা সব দিক বিবেচনা করে তদন্ত চালাচ্ছি। মৃত যুবকের(Bangladeshi) পরিচয় শনাক্ত করার পরই তার মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে। আমরা তার পরিবারের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করছি এবং বাংলাদেশ কনস্যুলেটের সাথে সমন্বয় করে কাজ করছি।”
মৃত দেহের(Bangladeshi) শনাক্তকরণ ও প্রাথমিক তদন্ত
পুলিশ, উপলের জাতীয়তা নির্ধারণ করে তার কাছ থেকে উদ্ধার হওয়া নথিপত্র পরীক্ষা করে । তিনি সম্প্রতি কেন কলকাতায় এসেছিলেন, তার সফরের কারণ অস্পষ্ট। তিনি(Bangladeshi) একজন বন্ধুর সাথে হোটেলে চেক-ইন করেছেন বলে জানা গেছে। যদিও হোটেল ম্যানেজমেন্ট কোনও বিশদ তথ্য দিতে পারেনি।
প্রগতি ময়দান পুলিশ ও নিউমার্কেট পুলিশসহ স্থানীয় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী মামলাটির যৌথ তদন্ত শুরু করেছে। উপল কেন মধ্য কলকাতার নিউমার্কেট এলাকা থেকে সায়েন্স সিটির আশেপাশে গেলেন, যেখানে তার মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে, তা নিয়ে বিভ্রান্তি প্রকাশ করেছেন পুলিশ কর্মকর্তারা।
প্রাথমিক তদন্তে আত্মহত্যার ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছে, পুলিশ সূত্রে খবর।
পরবর্তী পদক্ষেপ
কলকাতা পুলিশের হোমিসাইড ডিপার্টমেন্ট উপলের মৃতদেহ উদ্ধারের পর গোয়েন্দাদের ঘটনাস্থলে পাঠিয়েছে। তদন্তকারীদের প্রাথমিক পর্যবেক্ষণে আত্মহত্যার সম্ভাবনা রয়েছে, তার(Bangladeshi) শরীরে দৃশ্যমান আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। মৃত্যুর কারণ নির্ণয়ের জন্য দেহটি ময়নাতদন্ত পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে, ফরেনসিক বিশ্লেষণে আরও স্পষ্টতা পাওয়া যাবে বলে আশা করা হচ্ছে।
ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পাওয়ার পর পুলিশ বিস্তারিত জানাতে পারবে। তবে ইতিমধ্যেই পুলিশ ঘটনাস্থল এবং আশেপাশের সিসিটিভি ফুটেজ পরীক্ষা করছে।
উপলের(Bangladeshi) অকাল মৃত্যুর আগে তার গতিবিধির উপর আলোকপাত করার জন্য জলাধারের আশেপাশের এলাকা থেকে, সেইসাথে উপল যে হোটেলে ছিল সেখান থেকে সিসিটিভি ফুটেজ পাওয়ার চেষ্টা চলছে।
প্রগতি ময়দান থানায় একটি অপমৃত্যুর একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। ইতিমধ্যে, সিআইডি চূড়ান্ত সনাক্তকরণের উদ্দেশ্যে ডিএনএ পরীক্ষার জন্য নমুনাগুলি ফরেনসিক পরীক্ষাগারে পাঠিয়েছে।
কোলকাতা পুলিশের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেছেন যে, উপলের উৎস খুঁজে বের করার এবং তার(Bangladeshi) পরিবারকে জানানোর চেষ্টা চলছে। পুলিশ কর্মকর্তা আরও বলেন, “যেখানে লাশটি উদ্ধার করা হয়েছে আমরা সেখানকার সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করেছি এবং হোটেলের সিসিটিভি ক্যামেরাটিও বাজেয়াপ্ত করেছি।”
কোলকাতা ও বাংলাদেশের কনস্যুলেটের পদক্ষেপ
বাংলাদেশ কনস্যুলেট ইতোমধ্যেই কোলকাতা পুলিশের সাথে যোগাযোগ করেছে এবং তদন্তে সব ধরনের সহায়তা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। কনস্যুলেটের এক কর্মকর্তা জানান, “আমরা মৃত যুবকের(Bangladeshi) পরিচয় শনাক্ত করার চেষ্টা করছি এবং তার পরিবারের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করছি। আমরা আশা করি, দ্রুতই তার পরিচয় নিশ্চিত করা যাবে এবং যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া যাবে।”
উপসংহার
প্রগতি ময়দান মেট্রো স্টেশনের নিকটবর্তী অঞ্চলে, যেখানে ঐ অজ্ঞাত বাংলাদেশি যুবকের মৃত দেহ উদ্ধার করা হয়েছে, সেখানে এই ঘটনাটি নিয়ে ব্যাপক চাঞ্চল্য দেখা দিয়েছে। সেখানের বাসিন্দারা আশা করছেন, মৃত যুবকের(Bangladeshi) পরিচয় দ্রুত নির্ণয় করে, ঘটনাটির সঠিক কারণ উদঘাটন করে পুলিশ যথাযথ ব্যবস্থা নেবে।